এই ইনফরমেশনের যুগে আমরা সদাই বেতিব্যস্ত হয়ে উঠছি চারদিক থেকে পাওয়া নানা খবর আর আপডেটের ঠেলায় – উৎস নির্ভর করছে আপনার ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দের ওপর – সেটা খবরের কাগজ হতে পারে, টিভি চ্যানেল কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া হতে পারে, কিংবা হতে পারে পাশের বাড়ির তপন জেঠু বা অফিসের কলিগ। তো এটা খুবই স্বাভাবিক যে একটা সময়ে আমরা যে যার নিজের নিজের মত করে মতামত তৈরি করি এবং অনেক সময়েই নিজের ঘরানার আবেগ অনুভূতি আর যুক্তির চচ্চড়ি করে সেগুলো এখানে ওখানে শেয়ার করে থাকি। আম্মো খুব একটা ব্যতিক্রম নই। এখানে রইলো আমার গুলো।
বলে রাখি, এগুলোর অধিকাংশই যে খুব একটা তলিয়ে ভেবে লেখা নয়, সেটা বুঝতে মাথা খাটাতে হয় না। যাই হোক, তাতে কি যায় আসে। প্রসঙ্গত, এই পোস্টগুলো সমকালীন মিডিয়া গুঞ্জনের সঙ্গে একটু বেশি ওতপ্রোত ভাবে সম্পর্কিত, সে দিক দিয়ে আমার ডায়েরীর পোস্টগুলোর থেকে খানিকটা আলাদা।
ভিড় অর্ধেক করতে হবে। কীভাবে? দু একটা গবেট খুঁজে পেলেও পেতে পারেন, যাদের হিসেব বলবে ট্রেন বন্ধ করতে হবে, বাস কমাতে হবে। দুর্ভাগ্য এই, সেরকম গবেটদেরই আমরা মন্ত্রী সান্ত্রি বানিয়ে রেখেছি!! ঢের সোজা, তুড়ি মেরে লকডাউন ঘোষণা করা! এ পোড়া দেশে গরীবের পেটে ঝাঁপ ফেলতে তত কসরত করতে হয় না!!!
টাক মাথা, সাদা দাড়ি, হাওয়াই চপ্পল, ক্লিন শেভিত সব মুখ টিভিতে দেখা যাচ্ছে বটে। তবে ভোট ভিক্ষার পাত্র নিয়ে, গদির টিকিট চাইতে! কী আর করা যাবে। এ পোড়া দেশে নেতা নির্বাচন হয় সিয়াচেনে যুদ্ধ করবে বলে। অজানা ভ্যাক্সিন সিলেবাসেই নেই!
বিশেষত ভারতের মত দেশে, যেখানে প্রযুক্তি আর তার হাত ধরে ইনফরমেশন আগে আগে এসে গেছে, অথচ মূল্যবোধের শিক্ষাটা ঠিক তারে বাঁধার ব্যবস্থা হয় নি, সেখানে পুরো পাবলিকের একসঙ্গে এই উন্নাসিকতা ভয়ঙ্কর। আজকের সমাজে অনেক কিছুর যে অবনমন দেখতে পাস, তার মূলে হয়তো এটাই, যে আজ আমরা ধর্মেও নেই, জিরাফেও নেই।
১) সুলোচনার প্রেমে পড়েছিলাম তার প্রখর যুক্তিবাদী মনোভাবে আকৃষ্ট হয়ে। কত আপাত তুচ্ছ ঘটনাকেও অত সূক্ষ্মভাবে বিচার করতে কাউকে দেখি নি। আর আমার যা স্বভাব, যুক্তিতে হেরে গেলেই দুম করে প্রেমে পড়ে যাই। সুলোচনার প্রেমে পড়েছিলাম তার চোখ দুটোর জন্যে। তার সঙ্গে ঠোঁটের কোণে ওই ছোট্ট তিল। মনে হয়েছিল ওই…
ক্লাসে সবাই ফার্স্ট হয় না, জীবনেও সবাই অত ‘সফল’ হয় না। তাছাড়া এত সাফল্যে কাজ নেই। সফল হওয়াটাই জীবনের মূল উদ্দেশ্য – এটাও মানে বই এর শেখানো একটা গোলমেলে উত্তর। সাফল্যের পরীক্ষায় ১০ না পেয়েও মানুষ সুখী হতে পারে। একটা বেসিক প্রয়োজন মিটে গেলে ভালো থাকতে পারাটা একটা আর্ট।
আমার বিশ্বাস ক্যামেরার সামনে এক গাদা টেক নিয়ে অভিনয় যে কেউ করে দিতে পারে। কিন্তু ভাবুন আপনি নিজে ডাক্তার বলে আপনার ছেলেকেও ঢুকিয়ে দিলেন আপনার চেম্বারে। কিন্তু একটা রোগীর কিছু একটা হয়ে গেলে যখন রোগীর বাড়ির দশ জন লোক আপনার বাড়িতে হানা দেবে, কোথা দিয়ে উড়ে যাবে স্বজনপোষণ।