নারী, পুরুষ এবং একটি ধাঁধা!

সবার আগে তথাকথিত ধাঁধাটি পেড়ে ফেলা যাকঃ

একজন বাবা তার ছেলেকে নিয়ে দিব্যি রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ হুড়মুড় করে একটা তাল কাটা লরি পেছন থেকে ধাক্কা মারলো। সঙ্গে সঙ্গে হুলুস্থুল কান্ড। লোকজন জড়ো হয়ে দেখলেন, বাবা মারা গেছেন। কিন্তু ছেলেটি বেশ কিছুটা দূরে ছিটকে পড়েছে, মারাত্মক আহত, কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে গেলে বাঁচানো যেতে পারে।…

হাসপাতাল। সার্জেন্ট এলেন। হঠাৎ সার্জেন্টের বক্তব্য, “এ তো আমার নিজের সন্তান। আমি অপারেশন করতে অপারগ!”
এখন প্রশ্নটা হল, এটা কি করে সম্ভব??? “

খুব বেশি তলিয়ে ভাবার দরকার নেই, উত্তরটা ভারী সোজাসাপ্টা – সার্জেন্ট ছেলেটির মা হতে পারেন। সুতরাং সে অর্থে এটি আদৌ কোনও ধাঁধাই না!

ধাঁধাটি আসলে একটু অন্য জায়গায়। উত্তরটা মনে আসার আগে ওই যে আমরা কয়েক সেকেন্ড থমকে যাই, ভাবতে থাকি, আহা তাই তো, দুজনে কি করে বাবা হতে পারেন! কেউ কেউ একটু এক্সট্রাও ভেবে ফেলতে পারেন – হয়তো একজন সৎ বাবা। খুব প্রোগ্রেসিভ লোকেরা এও বলতে পারেন, দুজনেই একসঙ্গে বাবা হলেই বা আশ্চর্যের কি আছে, আজকাল তো এমনটা হচ্ছেই।

No offence. কিন্তু মজাটা এখানে, যে আমরা অনেকেই কয়েক মুহূর্ত থমকে যাই এ প্রশ্নে। সার্জেন্ট, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, পাইলট, সেনা – এসব টার্ম শুনলে চট করে মাথায় একজন নারীর ছবি আসেই না। আলাদা করে ‘মহিলা’ কথাটা প্রিফিক্সে না জুড়লে।

মাথার মধ্যে থমকে যাওয়া এই কয়েকটা সেকেন্ডই আসলে আমাদের পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার মাপকাঠি।

Image source

Further reading:

Leave a Reply

Scroll to Top