এই ইনফরমেশনের যুগে আমরা সদাই বেতিব্যস্ত হয়ে উঠছি চারদিক থেকে পাওয়া নানা খবর আর আপডেটের ঠেলায় – উৎস নির্ভর করছে আপনার ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দের ওপর – সেটা খবরের কাগজ হতে পারে, টিভি চ্যানেল কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া হতে পারে, কিংবা হতে পারে পাশের বাড়ির তপন জেঠু বা অফিসের কলিগ। তো এটা খুবই স্বাভাবিক যে একটা সময়ে আমরা যে যার নিজের নিজের মত করে মতামত তৈরি করি এবং অনেক সময়েই নিজের ঘরানার আবেগ অনুভূতি আর যুক্তির চচ্চড়ি করে সেগুলো এখানে ওখানে শেয়ার করে থাকি। আম্মো খুব একটা ব্যতিক্রম নই। এখানে রইলো আমার গুলো।
বলে রাখি, এগুলোর অধিকাংশই যে খুব একটা তলিয়ে ভেবে লেখা নয়, সেটা বুঝতে মাথা খাটাতে হয় না। যাই হোক, তাতে কি যায় আসে। প্রসঙ্গত, এই পোস্টগুলো সমকালীন মিডিয়া গুঞ্জনের সঙ্গে একটু বেশি ওতপ্রোত ভাবে সম্পর্কিত, সে দিক দিয়ে আমার ডায়েরীর পোস্টগুলোর থেকে খানিকটা আলাদা।
পলিসিমেকার – সরকার? নাকি মিডিয়া?
ছোট বড় বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিডিয়া একটা অদ্ভুত মেলড্রামা তৈরি করে। তারা জনমানসে সুচারুভাবে গেঁথে দেয় এই পরিস্থিতিতে সরকারের কি করা উচিৎ ছিল। আর আমরা সাধারণ মানুষ, যেহেতু আমাদের খুব একটা তলিয়ে ভাবার দায় নেই, মিডিয়ার বাতলে দেওয়া সেই রাবিশ গুলো দিয়েই যাচাই করতে বসি সরকারের কর্মকাণ্ডকে। এই যেমন…
মিডিয়া আর একঘেয়ে আমরা
মিডিয়া বললে সামনে বিপদ, ঘাবড়ে গেলুম। হ্যাঁ হ্যাঁ তাই তো।মিডিয়া বললে এবার ভয় করো। ভয় পেতে লাগলুম খুব।মিডিয়া বললে, এখন রেগে যাও। গর্জে উঠলুম।ওরা বললে, বেশ বেশ, এবার একটু শোক পালন করো দেখি। খুব কাঁদতে লাগলুম। মাঝে মাঝে বড় একঘেয়ে লাগে। যখন বুঝতে পারি, মিডিয়া সুর বেঁধে দিচ্ছে, আর সমগ্র…
” আমাদের মত দেশে ” (ছিল করোনা, হয়ে গেলো কাশ্মীর)
– আমাদের মত দেশে কি আর জনে জনে টেস্ট করা যায়? আমাদের মত দেশে হাসপাতাল উপচে পড়লে সরকারই বা কি করবে! – এই সিলেক্টিভ ঘ্যানঘ্যানে সহানুভূতি দেখানো গুলো ছাড় তো। তোরা পাবলিক শালা মিডিয়া যেমন নাচাবে তেমনি নাচবি, পলিটিক্যাল লিডাররা যেমন কাঁদাবে তেমনি কাঁদবি! কই ইন্ডিয়াযখন সেনা সংখ্যায় পৃথিবীতে এক…
পিঁপড়ে, এলিয়েন (আর করোনা)
আমাদের দেশের বাড়ি যেখানে আমার ছেলেবেলা কেটেছে, ভিটের কোণে একটা বেশ বড় সড় কলোনি ছিল পিঁপড়েদের। তখন মাঝে সাঝে খানিকক্ষণ চুপচাপ বসে থাকতাম ওইটার দিকে তাকিয়ে। আজ হঠাত করে খেয়াল পড়তে টুক করে একবার দেখে এলাম। ঠিক ওই জায়গাটা দিয়েই একটা ইটের দেওয়াল উঠে গেছে এখন। আর একটা গোয়াল ঘরের…
ফোন কি বাত
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একটা কাল্পনিক ফোনালাপ – বহুত বহুত সুক্রিয়া দাদা। কেন জানি না প্রায় সব অবাঙালিরাই বাঙালিদের দাদা বলে সম্বোধন করে। কিন্তু উনি বরাবর মিত্র বলেই ডাকেন আমায়। আজ হয়তো একটু বিপর্যস্ত। যা চলছে চারদিকে! আজ ফোনে অনেক্ষন কথা হল ওনার সঙ্গে। বোধ হয় আমার বিগত কয়েকটা পোস্ট…
পুলিশ বনাম জনতা – লকডাউন
ওরা জানে না ইতালি দেশটা কোথায়। পৃথিবী যে গোল, সেটাই বোধ হয় সবাই বলে বলেই ঠিক ধরে নিয়েছে। ওদের সামর্থ্য নেই worldometer এর পাতাটা খুলে চিত্রগুপ্তের মত হিসেব নিকেশ কষে নেবে, আজ নতুন করে কোথায় কয়জন মারা গেলো। ওদের অবকাশ নেই একলা ঘরে বসে রাত তিনটেতে ফেসবুক এর ওয়ালে নাকি…