রাজীব দা এসে বললে, সুমন, আজকাল তো বেশ দারুন লেখালেখি করছ ফেসবুকে। তবে ইংলিশ ওয়ার্ড একটু কম ইউজ কর।
সুমনের সঙ্গে আমি তখন একটা পেপার নিয়ে সিরিয়াস ডিসকাশান করছি। ও আরও সিরিয়াস হয়ে রাজীব দার পকেট থেকে খপ করে পেন টা নিয়ে পেপারের উল্টো দিকের ব্লাঙ্ক পেজে কীসব খস খস করে লিখল।
তারপরে বললো, রবীন্দ্রনাথ এসে সাধু বাংলা ছেড়ে চলিত ভাষায় লেখা পপুলারাইজ করলেন। তুমি বলছ আরেকজন রবীন্দ্রনাথ না আসা অবধি আমরা খাঁটি বিশুধ ভাষাতেই শুধু লেখা লেখি করব?
রাজীব দা ভালো মানুষ। কালচারাল ঐতিহ্য নিয়ে কিছু বলবে বলবে করছে। আমার আবার এদিকে ইন্টেলেকচুয়াল তর্ক শুনতে অ্যালারজি।
থামিয়ে বললুম, হুম, ওর লেখা আমিও দু একটা পড়েছি। বেসিকালি বন্ধুদের থেকে দু একটা চরিত্র ধার নিয়ে সস্তার ফাজলামো মারে। এসব ভাষা নিয়ে গুরু দায়িত্ব ওর কাঁধে চাপাও কেন!
রাজীব দা আর সুমন দুজনেই কেমন কটমট করে তাকাল আমার দিকে! ভয়ে পালিয়ে এলুম পেপার টা নিয়ে। তর্কের শেষ টা তাই জানা নেই। সুমনএর এই আঁকচারা টা রয়ে গেছে আমার কাছে…