– এই শোনো, পরের মাসে একটা নতুন ঘরে শিফট করছি।
– তাই? ঘর পেলে শেষমেশ! ঘরটা কেমন?
– বেশ ভালো। ঘরের পাশেই মস্ত আকাশ! আর আকাশের নীচে একটা লম্বা ইমারত। ওখানেই রোজ সন্ধায় সূর্য ঘুমাতে যায়। সারা দিন ধরে এই ক্যানভাসে কে যেন কত কী এঁকে যায়। ওই বাড়িটার নীচে একটা রাস্তা। না, এঁকে বেঁকে দিগন্তে মিশে যায় না – মস্ত শহরে এত প্রাচুর্য কোথায়! তবে সারা দুপুর ওখান দিয়ে হেঁটে যায় রঙ বেরঙের মানুষ। প্রেমহীন – আবার কেউ কেউ হয়ত তোমার আমার মত প্রেমের খোঁজে। তারা টেরও পায় না, আমি কত গল্প লিখে ফেলি ওদের নিয়ে!
– ধুর! তোমার পাগলামি রাখো। ঘরের জায়গায় জানালার বর্ণনা দিচ্ছে! বলছি, ঘরটা কি ফারনিশড? নাকি টেবিল, চেয়ার, বিছানা, পত্র সব আবার কিনতে হবে? কিচেন টা দেখে নিয়েছ তো? ওভেন, ফ্রিজ দেবে জানি। মাইক্রো ওভেন আর ডিশ ওয়াশারও কিন্তু মাস্ট।
– তুমিও বড্ড কেমন যেন! জানালা দিয়ে হাত বাড়ালেই মুঠোয় পাবে পুরো পৃথিবীটা! অথচ এক চিলতে জায়গা নিয়ে তাসের ঘর বানাতেই অস্থির! জানো, তুমি আসার পরে দুটো তারাকে রাতের পাহারাদার নিয়োগ করব। মাইনে পত্তর কিচ্ছু নেবে না বলেছে। চাঁদের জ্যোৎস্না তোমাকে রোজ ঘুম পাড়িয়ে দেবে। জানালার পাশটায় দুটো চারা গাছ রাখব। নীচের চেরি গাছটার সঙ্গে ওরা সারাদিন গল্প করবে। নিশ্চয় আমাদের ছেলে মানুষী ঘরকন্না নিয়ে ওরা করবে খুব হাসাহাসি।
– ধুর, তোমার সঙ্গে আজকাল কথাই বলা যায় না। তুমি বরং কয়েকটা ফটো পাঠাও ঘরের! আমি নিজেই দেখছি।
– আচ্ছছা, বেশ।
পূর্ণেন্দু পত্রীয় স্পর্শ আছে লেখায়, কিন্তু একদম অন্যরকম। দারুণ লাগলো।
এর পর ‘যে ছেলেটা হাসতে জানতো না’ শিরোনামে একটা লেখা চাই। 😎
ধন্যবাদ! উনি আমার একজন মস্ত প্রিয় কবি! 😀